যাদের কাছ থেকে আমি ওয়াইফাই নেই, তাদের একটা ব্যাপারে খটকা লাগার কারনে সার্চ দিয়ে দেখি প্রশ্নটা। যা মনে মনে আশঙ্কা করেছিলাম,তাই-ই উত্তর মিললো।
এখন প্রাইভেসি ইম্পোর্টেন্ট। কেউই চাইবে না সে কি করছে, কি সার্চ করছে,কোন অ্যাপ – এ কতক্ষন সময় কাটাচ্ছে এটা কারো কাছে ডিটেইলসে ইনফরমেশন থাকুক। তো,প্রাইভেসিটা মেইনটেইন করার জন্য কি করা যায়?
ISP হলো নেটওয়ার্ক provider এর সবার উর্ধ্বে। আপনার রাউটার এর যে স্পিড আসে সেটার রুট হলো ISP।
বিশ্বের প্রতিটা ওয়াইফাই কোম্পানিগুলোকে ISP ই ব্যান্ডউইথ প্রভাইড করে। তারা যেহেতু প্রভাইডিং উৎস, তাদের কাছে এইসব ইনফো থাকা স্বাভাবিক।
যেমনঃ গুগল জানে আপনি কী সার্চ দিচ্ছেন না দিচ্ছেন, সেভাবে ISP সার্ভার থেকে এটা চেক করা যায় যেহেতু রাউটার এর রুট Bandwith তারাই দেয়।
আপনি যতই আইপি চেঞ্জ করেন, তারা এগুলা সেকেন্ডের মধ্যেই ধরে ফেলবে
না এটা ভুল কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দুইটা প্রটোকল আছে। একটা হচ্ছে http, আরেকটা https। বর্তমানে বেশিরভাগ ওয়েবসাইট https ব্যবহার করে। https প্রটোকলে ইন্টারনেটের সব রিকোয়েস্ট encrypted থাকে, অর্থাৎ লক করা থাকে।
এই রিকোয়েস্টগুলো আপনি আর যে সার্ভারে রিকোয়েস্ট করছেন সে সার্ভার ছাড়া মাঝের আর কেউ দেখতে পারবে না। তাই https ব্যবহার করলে আপনি সম্পূর্ণ সেফ।
যেসব সাইটে https নেই, সেগুলোতে ভিজিট করার সময় ব্রাউজার ওয়ার্নিং দিবে। এগুলো সেফ না। চাইলেই কেউ দেখতে পারবে।
এ ধরণের ওয়েবসাইটে পেমেন্ট করাও রিস্কি। তাহলে কি করবেন? Brave বা Firefox এর মতো প্রাইভেসি ফ্রেন্ডলি ব্রাউজার ব্যবহার করবেন। এগুলো আপনার http রিকোয়েস্টকে https এ আপগ্রেড করে দেয়ার ট্রাই করবে। ৮০-৯০% টাইমে এরা সফল হবে।
তখন আপনি সেফ। তবে http প্রটোকলবিশিষ্ট ওয়েবসাইটের সংখ্যা অনেক কম। আমাদের নিয়মিত ব্যবহার করা গুগল, ফেসবুক – এরা সবাই https প্রটোকল ব্যবহার করে। এটা ব্রাউজারে লিংকের শুরুতেই দেখতে পারবেন। তাই সেফ থাকতে পারেন! 🙂
কোন চিন্তা ছাড়াই ব্যবহার করুন। কোনো সমস্যা হবে না।